ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

প্রথম আলো ::   মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। ‘অস্তিত্বহীন’ চিংড়িঘেরের তথ্য দিয়ে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করার তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তে উঠে আসে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল হোসেন শুনানি শেষে এই মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম, আবদুল কাদের ভুঁইয়া, রকিবুল আলম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চাষি সেজে ক্ষতিপূরণ নেওয়া চিংড়ি ব্যবসায়ীরা।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রুহুল আমিন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ছিলেন। ওই সময় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মহেশখালী উপজেলায় ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। ওই সময় ২৫টি ‘অস্তিত্বহীন’ চিংড়িঘেরের তথ্য দিয়ে প্রায় ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। বাকি ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ টাকা উত্তোলনের জন্য পাঁচটি চেকও ইস্যু করা হয়।এই ঘটনায় এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী নামে মাতারবাড়ীর এক ব্যবসায়ী ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তখনকার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করেন। এরপর আদালতের আদেশে দুদক এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল রুহুল আমিনসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা ক্ষতিপূরণের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে উত্তোলন করা হয়েছে বলা হয়। এরপর জেলা প্রশাসকসহ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।

পাঠকের মতামত: